যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের প্রস্তাবে ‘উদ্বিগ্ন’ মিয়ানমার


মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের দায়ে সেনাবাহিনীর উপর অবরোধ আরোপে যু্ক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের এক অবরোধ প্রস্তাবে মিয়ানমার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশটি বলছে অবরোধে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে এবং মিয়ানমারের অপরিণত বেসামরিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশটির নেতা অং সান সু চির একজন মুখপাত্র একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মিয়ানমারের উপর ফের অবরোধ আরোপের প্রস্তাব করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা। যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে তোলা অবরোধর প্রস্তাবের সমর্থন করেছেন রিপাবলিকান দলের প্রভাবশালী সিনেটর জন ম্যাকেইন ও ডেমোক্রেট সিনেটর বেন কারডিন। প্রতিনিধি পরিষদেও একটি সম্পূরক প্রস্তাব আনা হয়েছে।
ওই প্রস্তাব পাস হলে রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাকর্মকর্তাদের উপর সুনির্দিষ্ট অবরোধ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে। একইসঙ্গে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে।
এমন প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে সূচির ওই মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য আমাদের আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা দরকার। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ভ্রমণ ও ব্যবসা বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত মানুষদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এছাড়া আরও অনেক খারাপ পরিণতি আছে।’
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে সেনাবাহিনী পাল্টা দমন অভিযান চালাচ্ছে। ওই ঘটনার রাখাইন রাজ্যের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ওই অভিযানকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। যদিও মিয়ানমার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সূত্র: রয়টার্স