এলাকাবাসীর দুর্ভোগ

মির্জাপুরে জোয়ারের ভেঙ্গে গেছে বাঁশের সাঁকো

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৪১ এএম, রোববার, ১৯ মে ২০১৯ | ৫৫৬

মির্জাপুর পৌরসভাকে দ্বিখন্ডিত করে প্রবাহমান লৌহজং নদীর কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটে বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে পড়ায় উপজেলার কমপক্ষে ২০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার দুপুরে জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে নদীতে ভেসে যায়।

জানা গেছে, মির্জাপুর সদরসহ দক্ষিণাঞ্চলের কমপক্ষে ২০ গ্রামের মানুষ গ্রীষ্মকালে নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। এই সাঁকো পারাপার হতে সাধারণ মানুষের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে।

গত শনিবার লৌহজং নদীতে জোয়ারের পানি আসে। জোয়ারের পানির সাথে উজান থেকে প্রচুর কচুরিপানা আসতে থাকে।

জোয়ারের পানির স্রোত এবং পানার চাপে রোববার দুপুরে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে নদীতে ভেসে যায়। বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সদরসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। নদীর এপার এবং ওপারে শত শত পথচারী আটকা পড়েন। জরুরী রুগিসহ মালামাল পরিবহন এবং মানুষের দৈনন্দিন চলাচলে মারাতœকভাবে বিঘ্ন ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

অন্যদিকে সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় অতিরিক্ত প্রায় চারগুন টাকা ভাড়া দিয়ে অটো রিস্কা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে উপজেলা চত্ত্বর হয়ে পাহাড়পুর ব্রিজ ও কুতুব বাজার ব্রিজ হয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতাল খেয়াঘাটে একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসলেও অজ্ঞাত কারণে বিজটি নির্মিত হচ্ছে না।

ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেমন বলেন তার ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ এই খেয়াঘাট দিয়ে নিয়মিত চলাচল করে থাকে। ওই স্থানে একটি ব্রীজ হলে ভাল হয়।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মালেক বলেন ব্যস্ততম ওই স্থানে ব্রীজ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।