অধিগ্রহনের নিয়ম সেম!
মাতারবাড়ীর জমির মুল্য বৃদ্ধি করা হলে চকরিয়ায় নয় কেন?


কক্সবাজারের মহেশখালী, মাতারবাড়ীতে কয়লাবিদ্যুতের জন্য এবং চকরিয়া সহ কক্সবাজারে রেললাইনের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে জমি অধিগ্রহন করেছেন সরকার। অধিগ্রহন কাজে জড়িত কর্তা ব্যক্তিরা এলাকাভিত্তিক মৌজারেইট ও নির্ধারন করেছেন। জমির শ্রেণী ভিন্ন হলেও এসব পর্যালোচনা না করেই মৌজা রেইট বসিয়ে ৭ ধারা নোটিশ ইস্যু করেছেন ভুমি অধিগ্রহন কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিপাকে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিক গন। এতে শুরু হয় ভুমি মালিকদের দৌড়ঝাঁপ। অনেকে পৌঁছে গেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরবার পর্যন্ত। যারা ওই পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা পেয়ে
সফল হয়েছেন আবার যারা পৌঁছুতে পারেননি তারা ক্ষুব্দ হয়ে প্রদিবাদের সুরে হা-হুতাস করছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে
তাদের দাবী ঐ দামে আমরা জমির ছাড় দেবনা প্রয়োজনে যুদ্ধ করবো। এমন সময়ে মাতারবাড়ীর চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ মুল্যবৃদ্ধির
দাবী নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে গেলে ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয়টি চিন্তা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখেন
মাতারবাড়ীর ১৪ শত ১৪ একর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভূমির মালিকদের জমিনের মূল্য পানির দরে নির্ধারণ করে লবণের জমি প্রতি একর ৮ লাখ এবং কৃষি জমি ১১ লাখ টাকা নির্ধারন করে চেক বিতরণ শুরু করেছে সরকার। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ্ এ মূল্য প্রত্যাখান করে আরো মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে মুল্য বাড়ানোর জন্য তদবির করেন। সর্বশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান। এ সব হয়রানির বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমির মূল্য পুনঃ বিবেচনা করে মূল্য বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেন। ফলে কর্তৃপক্ষ ৮ লাখের স্থলে ২৭ লাখ, ১১ লাখের স্থলে ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।ঐ অনুযায়ী কয়েক দফায় ইতিমধ্যে চেকও বিতরণ করেছেন। তাতে মাতারবাড়ীর
জমি মালিকদের মুখে হাসি ফুটে। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়, চকরিয়া পৌরসভা একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা এবং বাণিজ্যিক এলাকা হলেও অধিগ্রহন কর্তৃপক্ষ পৌরসভা নামকরন এবং পৌরসভার মৌজা রেইট শব্দটা উহ্য রাখে অধিগ্রহনে লিপি করেন। ফলে পৌরসভার কোটি টাকা মুল্যের জমির রেইট বসায় প্রতি একর মাত্র ২১ লক্ষ টাকা। এতে বিপাকে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকশত ভুমি মালিক।
পৌর-সভাকে আলাদা মৌজা রেইটে মুল্যায়ন করেনি। সরকারের বিমাতা সুলভ আচরনে ক্ষিপ্ত পৌরবাসী। তাদের দাবী অধিগ্রহনের নিয়ম সেম! মাতারবাড়ীতে জমির মুল্য বৃদ্ধি হলে চকরিয়া পৌরসভায় বৃদ্ধি হবে না কেন? এ ব্যাপারে চকরিয়া-পেকুয়ার এমপি, পৌরসভার মেয়র সহ সংশ্লিষ্ট নেতাদের এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত বা নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন, পৌর-সভার পালাকাটার ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিকরা।
এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভুমি মন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ভুমিমালিকগন। তারা বলেন অধিগ্রহনের নিয়ম সেম!মাতারবাড়ীর জমির মুল্য বৃদ্ধি করা হলে চকরিয়ায় নয় কেন?